রুবেল রানা, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে রুপ নিলেও কার্যত পদক্ষেপ নেই ঠাকুরগাঁও পৌর কর্তৃপক্ষের। এ অবস্থায় নগর কমিটি উন্নয়ন সভায় ক্ষুদ্ধ কাউন্সিলরগন।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাড়ছে যানজোট। শহরে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় নিয়মিত চলাচলে পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক পরিনত হয়েছে খানাখন্দে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার যানবাহন চালক, পথচারি ও স্থানীয়রা।
দীর্ঘ দিনেও পৌর কর্র্তৃপক্ষ রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ না নেয়ায় এবার সড়ক সংস্কারের নেমেছে জেলার একতাবন্ধন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংঠনের সদস্যরা শ্রমিকদের নিয়ে ঝাড়ু হাতে সড়কের ময়লা আবর্জনা সড়িয়ে বিটুমিন মিশ্রিত পাথর দিয়ে খানাখন্দ সংস্কার করছেন। আর এ সংগঠনটির সভাপতি একজন শিক্ষক। তাই জনদূর্ভোগ কমাতে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাস্তা সংস্কারে নেমেছে।
এরইমধ্যে পৌর শহরের কয়েকটি সড়কের খানাখন্দ সংস্কার করায় সাচ্ছন্দে চলাচল করছে পথচারিরা। তাদের এমন কার্যক্রমে খুশি নগরবাসি।
অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষের নগর উন্নয়ন কমিটির সভায় ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে কাউন্সিলরদের।
এ বিষয়ে আমানতুল্লাহ ইসলামী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ও একতাবন্ধন স্বেচ্ছাসেবী প্লাটর্ফমের সভাপতি আব্দুস ছালাম জানান, রাস্তার এমন অবস্থায় সবচেয়ে অসুস্থ্য মানুয়ের কস্ট হচ্ছে দেখে ছাত্রদের সাথে নিয়ে এমন উদ্যোগ গ্রহন করি। বেশকিছু সড়কের খানাখন্দ পুরন করা হয়েছে। এতে যেমন সাধারণ মানুষের ভোগান্তির নিরসন হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও এখন ভাল কাজগুলো করে ভবিষ্যতে মানুষের মত মানুষ হয়ে এমন কাজে আগ্রহ দেখাবে। এতে সমাজ ব্যবস্থার কিছুটা হলে উপকারে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
আর পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা জানান, ছোট ছোট কিছু সড়ক রাজস্ব খাত থেকে সংস্কার করা হলেও বরাদ্দ সংকটে এমন পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
পৌর কর্তৃপক্ষে তথ্য বলছে, পৌর এলাকায় একশ ৯৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এরমধ্যে পাকা করা হয়েছে ১৩৫ কিলোমিটার। বাকি সড়ক এখনো কাঁচা।
0 coment rios: