ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত আসামীদের সুবিধার্থে হাজতি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। যা থেকে নিজেদের ভুল সুদরিয়ে নতুনভাবে জীবনযাপনে ভুমিকা রাখবে। আর আইনি পরামর্শকরা মনে করছেন পেশাগত জীবনের সবচে স্বরণীয় ও উল্লেখযোগ্য বিষয়।
জমি বিরোধ, গুম, খুন, নারী নির্যাতন, চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার হচ্ছেন অভিযুক্তরা। বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের থাকতে হচ্ছে কারাগারে। তবে এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন নিরপরাধ ব্যাক্তিও।
তারপরেও আইনি পক্রিয়ার মাধ্যমেই খালাস পেয়ে হয় অভিযুক্তদের। আর সব বিষয় বিবেচনা করে অভিযুক্তরা নিজেদের ভুল সুদরিয়ে কিভাবে ভালোর পথে ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের উদ্যোগে কোর্ট ভবনে স্থাপন করা হয়েছে হাজতি পাঠাগার।
পাঠাগারটিতে সকল ধর্মীয়গ্রন্থ, মনীষীদের শিক্ষামুলক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আইন বিষয়কসহ সচেতনামুলক বিভিন্ন ধরনের বই রাখা হয়েছে। এতে অলস সময় পার না করে বই পড়ার মাধ্যমে নিজের ভুল সুদরিয়ে ভালোর পথে ফিরতে ভুমিকা রাখবে। আর এমন উদ্যোগকে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, আইনজীবী ও বিচারকরা দেখছেন ব্যতিক্রম দৃস্টিভোঙ্গিতে।
জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর পেশাগত জীবনে হাজতি পাঠাগার স্থাপনের বিষয়টি সবচে স্বরণীয় ও উল্লেখযোগ্য এখান থেকেও শিক্ষা নিয়ে তাদের ভুলগুলো বুঝে উঠতে পারবে। ফিরবে আলোর পথে।
এসময় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডাগা ও আরিফুর রহমান বলেন, এমন উদ্যোগ ঠাকুরগাঁওয়ে কেউ নেননি যার ফলশ্রুতিতে এগিয়ে এসেছেন নিত্যানন্দ সরকার স্যার। যা সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আর এমন মহতি কাজের উদ্যোগতা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার বলেন, কাউকে আলাদা করে না দেখে নিজেকে সুদরাতেই এমন উদ্যোগ। এখানে যেসব বই রাখা হয়েছে তা থেকে অভিযুক্তরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে। ফিরবে ভালোর পথে।
বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে হাজতি পাঠাগার স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়। এতে পুলিশ, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, বিচারকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
0 coment rios: